
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দুইজন প্রাণ হারিয়েছেন। একজন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন এবং অপরজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ বিমানটি ১টা ১৮ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা লিমা খান জানিয়েছেন, দুপুর দেড়টার দিকে দিয়াবাড়িতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের ক্যান্টিনের ছাদে গিয়ে পড়েছে এবং ঘটনাস্থলে ৮টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে।
এছাড়া, মাইলস্টোন কলেজের সংলগ্ন মাঠে ‘এফ-৭ বিজিআই’ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস চলছিল। বিকট শব্দে বিমানটি ভেঙে পড়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং অভিভাবকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এদিকে, উদ্ধার কাজের জন্য বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২ প্লাটুন বিজিবি সেখানে কর্মরত রয়েছে। বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের প্রধান ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায়, বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ২৮ জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে শামীম ইউসুফ (১৪), মাহিন (১৫), আবিদ (১৭), রফি বড়ুয়া (২১), সায়েম (১২), সায়েম ইউসুফ (১৪), মুনতাহা (১১), নাফি (), মেহেরিন (১২), আয়মান (১০), জায়েনা (১৩), ইমন (১৭), রোহান (১৪), আবিদ (৯), আশরাফ (৩৭), ইউশা (১১), পায়েল (১২), আলবেরা (১০), তাসমিয়া (১৫), মাহিয়া (), অয়ন (১৪), ফয়াজ (১৪), মাসুমা (৩৮), মাহাতা (১৪), শামীম, জাকির (৫৫), নিলয় (১৪), সামিয়া নামের ছাত্র-ছাত্রীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।